ডেস্ক রিপোর্ট : ‘৩ বছর রাতের বেলা আমি তার সঙ্গে বিছানায় সময় কাটাই। স্বামী-স্ত্রীর মতো আমরা বসবাস করি। বিয়ের কথা বলে সে একটি ভুয়া কাবিন করে। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ছবি মোবাইলফোনে ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে। এরপর আমার ছোট বোনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে দুধের সঙ্গে বিষ এবং পরে হোটেল মেহেরপুরের ২০৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করি।’ সিলেটের মদন মোহন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক সাইফুর রহমানের লোমহর্ষক খুনের ঘটনার বিবরণ এভাবেই দিয়েছে ঘাতক ছাত্রী নিশাত তাসনিম রুপা। গতকাল প্রথমে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এবং বিকালে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই তথ্য জানায়। এ সময় গ্রেপ্তার হওয়া রুপার প্রেমিক মোজাম্মেল হোসেনও আদালতে একই তথ্য জানায়। শনিবার বেলা ১১টার দিকে টিলাগড়ের জমিদার বাড়ির মেস থেকে নিজ বাড়ি গোয়াইনঘাটে যাওয়ার জন্য বের হন কলেজ শিক্ষক সাইফুর রহমান।
এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রোববার দুপুরে পুলিশ নগরীর সুনামগঞ্জ বাইপাস এলাকার রেনেটা কোম্পানির সামনে রাস্তার পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় সিলেটে। সিলেট মহানগর পুলিশও ঘটনার আদি-অন্ত খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান শুরু করে। প্রথমেই তারা সন্ধান পায় সিলেট শহরতলীর শাহপরান এলাকার খিদিরপুর গ্রামের শফিকুর রহমানের মেয়ে নিশাত তাসনিম রুপার। লাশ উদ্ধারের দিন রাতেই পুলিশ নিজ বাড়ি থেকেই রুপাকে গ্রেপ্তার করে। পরে নগরীর টিলাগড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে রুপার প্রেমিক ছাতকের আলমপুরের মোজাম্মেল হোসেনকে। দু’জনকে গ্রেপ্তারের পরপরই পুলিশের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে উঠে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-